শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ ঢাকা, বাংলাদেশ
সংবাদ

গবেষণা ও প্রবন্ধ সাহিত্যিক শামসুজ্জামান খান অনেক বড় মানুষ।

গবেষণা ও প্রবন্ধ সাহিত্যিক শামসুজ্জামান খান অনেক বড় মানুষ।

সেলিনা হোসেন

সাহিত্যকর্মে স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত গবেষণা ও প্রবন্ধ সাহিত্যিক শামসুজ্জামান খানের মৃত্যুতে শোকবিহ্বল তাঁর সাবেক সহকর্মী, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সাথে শামসুজ্জামান খান সম্পর্কে কথা হয়। টাইম বাংলা ম্যাগাজিনের পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি তুলেধরা হলো-

 

প্রশ্ন : বিশিষ্ট ফোকলোরবিদ শামসুজ্জামান খানের মৃত্যুতে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।

সেলিনা হোসেন : তাঁর (শামসুজ্জামান খান) মৃত্যুর খবর পাওয়ার থেকে আমি কথা বলার মতো অবস্থা নেই। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলা একাডেমিতে তাঁর সঙ্গে চাকরি করেছি। তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন অভিভাবক, ফোকলোরবিদ ও একজন গবেষক হারিয়েছি। একজন সমাজমনস্ক মানুষ হারিয়েছি। যিনি তাঁর উদার মানবিক বোধের চেতনায় আলোকিত করে রেখেছিলেন তাঁর চারপাশ।

 

প্রশ্ন : একসময় তিনি আপনার সহকর্মী ছিলেন। সহকর্মী হিসেবে তাঁকে কীভাবে মূল্যায়ণ করবেন?

সেলিনা হোসেন: জামান সাহেব (শামসুজ্জামান খান) াআমার সিনিয়র ছিলেন। তিনি বাংলা একাডেমির অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। অনেকগুলো অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। তিনি সেগুলো করেছেন বাংলা একাডেমির নানা কিছুর সঙ্গে জড়িত থেকে। তিনি বাংলা একাডেমির প্রকাশনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। একটা বড় কথা মনে আছে। একবার, তখন মহাপরিচালক ছিলেন মনজুরে মাওলা। ৮২/৮৩ সালের দিকে সময়টা। তখন তিনি (মনজুরে মাওলা) আমাকে বললেন, আমাদের ভাষা আন্দোলন নিয়ে একটা উপন্যাসের সংকলন হোক। ফেব্রুয়ারিতে সেটা প্রকাশ করা হবে। তখন কীভাবে তিনি নির্বাচন করলেন। আমাদের ঔপন্যাসিক শওকত ওসমান, শওকত আলী, সৈয়দ শামসুল হক। পরে দেখা গেল শওকত আলী বললেন, আমি এত তাড়াতাড়ি লিখতে পারবো না। সৈয়দ শামসুল হক তখন লন্ডনে থাকতেন। শওকত ওসমান আছেন, জহির রায়হানের একটা বই আছে। তখন আমাকে বললেন, আপনি একটা উপন্যাস লিখেন। তিনটা বই দিয়ে এই সংকলনটা হবে। তখন আমি বললাম, এত তাড়াতাড়ি আমি কেমন করে লিখব? তখন জামান সাহেব আমাকে একটা উপদেশ দিলেন। জামান সাহেবও ছিলেন ওই মিটিংয়ে। আপনি যেসব কাজ করেছেন ওখান থেকে বাংলা গল্পের যে প্রগতিশীল গল্পগুলো লিখেছেন সেগুলো ধরে, মুনীর চৌধুরী ধরে চল্লিশের দশক ধরে আপনি একটা উপন্যাস করেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী আমি ‘নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি’ উপন্যাসটি লিখি। এ ছাড়াও তো অনেক কাজ করেছি তাঁর সঙ্গে। আমার পরিচালক ছিলেন তিনি, আমি উপ-পরিচালক ছিলাম। যখন যা কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি করেছি। সেগুলো তিনি আগ্রহের সঙ্গে দেখেছেন এবং বলেছেন ভালো হয়েছে।

 

প্রশ্ন : ব্যক্তি শামসুজ্জামানকে আপনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। ব্যক্তি মানুষ সম্পর্কে জানতে চাই।

সেলিনা হোসেন : ওই যে বললাম, আইডিয়া দেয়া। তিনি সবাইকে দেখতেন, সবাইকে ডাকতেন, কথা বলতেন। কাজের জন্য বলতেন, আইডিয়া দিতেন। তাঁর সবকিছুই ছিল ভালো।

 

প্রশ্ন :  ফোকলর গবেষণা ও প্রবন্ধ সাহিত্যে তাঁর অবদান সম্পর্কে বলবেন।

সেলিনা হোসেন : ফোকলর সাহিত্যে তাঁর অবদান খুবই বড়। তিনি এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন। একজন ফোকলরবিদ হিসেবে তিনি অনেক বড় মানুষ। পাশাপাশি তিনি একজন প্রাবন্ধিক। বাংলাদেশের প্রবন্ধ সাহিত্যের একজন গবেষক ছিলেন। ফোকলোর বিষয়ে তাঁর অনেক রচনা আছেন এবং এ বিষয়টিকে তিনি অনেক বড় করে দেখেছিলেন।

 

প্রকাশ : অনলাইন ডেস্ক, টাইম বাংলা ম্যাগাজিন, ঢাকা

এই কুইজে


- জন
অংশগ্রহণ করেছেন
আপনিও রেজিষ্ট্রেশন করুন


the leader

the leader

২ এপ্রিল ২০২৩

আজ আপনার জন্য আর কোন পরীক্ষা নেই!

শিরোনাম:
   ডিএমপির নতুন কমিশনার, অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর        জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        প্রতিদিনই আমরা খবরে দেখছি পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেশি।        উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        দেশে ১০ বছরের প্রাকৃতিক গ্যাস মজুত আছে : জানালেন প্রতিমন্ত্রী        মার্কিন ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রত্যাহারের দাবি ১৯২ মার্কিন বাংলাদেশির        লাঙ্গল কার জানা যাবে রবিবার        আজকে বাংলাদেশে দরিদ্রতা নাই হয়ে গেছে: চুমকি        আরো আটশত মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ আসেছে দেশে : আশাবাদ সরকারের।        আড়াই হাজার দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষতি ২০০০ কোটি টাকা        বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        স্বল্পোন্নত দেশগুলো দান চায় না, তারা তাদের প্রাপ্য চায়ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        স্বায়ত্তশাসনসহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির ছয়টি দাবি : শেখ মুজিবুর রহমান।        মার্চের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাতিকে স্বাধীনতার প্রস্তুত জন্য করেন        বাংলাদেশ গেমসের সমাপনী দিনের মূল আকর্ষণ ছিল ১০০ মিটার স্প্রিন্ট।