শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ ঢাকা, বাংলাদেশ
সংবাদ

তবে সাধারণ জ্ঞানেও বুঝতেছি চিনা রাষ্ট্রদূত তার সীমা অতিক্রম করেছেন।

তবে সাধারণ জ্ঞানেও বুঝতেছি চিনা রাষ্ট্রদূত তার সীমা অতিক্রম করেছেন।

ছবি : জয়দেব দাস, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। (সংগৃহীত)

চীনের রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্যের এখনো কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ নেই কেন জানিনা। তবে সাধারণ জ্ঞানেও বুঝতেছি রাষ্ট্রদূত তার সীমা অতিক্রম করেছেন। চীন নিজের 'শত্রু' চিহ্নিত করে অন্যদের মিত্রতা নিয়েও সন্দেহে। তবে দেশটি বানিজ্যিক কূটনীতি প্রধান্য দেয় এটা সবারই জানা। নিজেদের স্বার্থে তারা অতীতেও আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমাদের জাতির পিতা লিখে গেছেন। যে চীনের জন্য ঢাকার রাস্তায় বাঙ্গালিরা মিছিল করেছে সেই চীন ভেটো পাওয়ার পেয়ে তা প্রথম প্রয়োগ করছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তাই চীন আমাদের নয়া বন্ধু হয়ে 'বড় দুলাভাই' সাজার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের ভাই ঢাকছি। কিন্তু তারা নিজেরাই কল্পনার জগতে বড় দুলাভাই সেজে বসে আছেন। তাই কল্পনার শ্বশুর বাড়ির সাথে তাদের সম্পর্ক খারাপ হবে এমন উচ্চরণ করার সাহসও দেখালে লি জিমিং।

বাংলাদেশে অনেক আগে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত একটা প্রবাদ চালু ছিলো-গরীবের সুন্দরী বউ সবার 'ভাবী'। দীর্ঘ দিন আর এমন প্রবাদ শুনি না। আমি গত কয়েক বছর ধরে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি। এই প্রচিলত প্রবাদটির ব্যবহার কমে গেছে কেন? কারণ হিসেবে আমার অনুসন্ধান বলছে , গরীবের বাড়িতে আগে পাতার বা পাট খড়ির যে বেড়া (দেয়াল) ছিলো এখন সেখানে শক্ত প্রচীর তৈরী হয়েছে। গরীবের রান্না ঘরে চারপাশ খোলা পরিবেশের বদলে নিদেন পক্ষে এখন একটি অস্বচ্ছ টিনের বেড়া দেয়া হয়েছে। তাই গরীবের সুন্দরী বৌ রান্না ঘরে কি কাজ করছে যাতায়াতের সময় এখন তা আর সবাই দেখতে পায় না। তাই আমি বলি আজকের বাংলাদেশে গরীবের সুন্দরী বউ আর সবার ভাবী নয়। গরীবের বাড়িতেও আজ শক্ত দেয়া ওঠেছে। নিজের গোপনীতায় বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে। চীনকে এই বিষয়টি একটু মনে রাখা দরকার ছিলো। বিশেষ করে চীনা রাষ্ট্রাদূত লি জিমিং।

কোয়াডে বাংলাদেশ যোগ দিলে ঢাকার সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে বেইজিং এর। এখন যুক্তরাষ্ট্র  ও ভারত যদি বলে তাদের এই নয়া জোটে না থাকলে তাদের সাথেও আমাদের বন্ধুত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিবে? তাহলে? চীনের উচ্চপদস্থ ব্যক্তি যখন আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাত করে কোয়াড নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তখন এরাষ্ট্রদূতের গণমাধ্যমে এমন মুক্তমত দেয়া কতটা বুদ্ধিবৃত্তিক আর কতটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার পালন করে করা হয়েছে আমি জানিনা। তবে যদি মি. লি যদি মনে করে থাকেন একটি হুমকি দিয়ে তিনি বাংলাদেশকে ভাবনায় রাখবেন তাহলে মনে হয় অনেক বড় ভুল। কারণ তার চেয়েও অনেক দক্ষ কূটনৈতিকরাও নিকট অতীতে 'নাকের চোখের পানি' এক করে বিদায় নিয়েছেন। দেশে ফিরে ক্যারিয়ারের কোন উল্লেখযোগ্য অর্জন নিজ দেশের প্রসাশনের কাছে জমা দিতে পারেননি। অনেক ক্ষেত্রেই তার প্রমাণ আছে বড় দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের জন্য।আমি তাদের নাম নাইবা বললাম।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে এবং নির্বাচন পরবর্তিতে চীনের ভূমিকা নিশ্চয় সরকারের মনে আছে। মনে থাকার কথা চীনেরও। কারণ দুটি ঘটনারই জন্ম দিয়েছিলো  তারা। বাংলাদেশ সরকার ও রাজনৈতিক বোদ্ধারা তা শুধুই প্রত্যক্ষ করেছেন। অনেকে অতীত ভুলে যায়। কিন্তু চীনের এমন নিকট অতীত ভুলে যাওয়া শুভ লক্ষণ নয়। তাছাড়া কোয়াড যেখানে বাংলাদেশকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠায়নি সেখানে রাষ্ট্রদূতের এমন আগ বাড়িয়ে বলার কারণের পেছনের কারণটাও খুজে বের করতে হবে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রণায়কে।

দিন শেষে দোষ সব মিডিয়ার। তাহেল রাষ্ট্রপতির সাথে চীনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে যা হয়েছে তাও কি মিডিয়ার ভুল ছিল ভাই। না চীনের সত্যিকারের উদ্বেগ? কোয়াড যারা করেছে(যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়) তারা বলেছ এটি বাণিজ্যিক জোট।  একটি মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠা যারা লক্ষ্য। কিন্তু চীন তাতে বারুদের গন্ধ পেয়েছে। তার নাক এত শক্তিশালী হলে ২০০৭ সালের পর আজ ২০২১ পর্যন্ত কি ঘুমিয়ে ছিল? যদি নিশ্চিন্তার ঘুমেই থাকে তবে ঘুম থেকে ওঠে আমাদের দিকে হুশিয়ারি উচ্চারণের মত উর্দ্ধত্ব কেন ভাই।

 

ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া-  

জয়দেব দাস, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

 

প্রকাশ : টাইম বাংলা ম্যাগাজিন, অনলাইন ডেস্ক, ঢাকা।

এই কুইজে


- জন
অংশগ্রহণ করেছেন
আপনিও রেজিষ্ট্রেশন করুন


the leader

the leader

২ এপ্রিল ২০২৩

আজ আপনার জন্য আর কোন পরীক্ষা নেই!

শিরোনাম:
   ডিএমপির নতুন কমিশনার, অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর        জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        প্রতিদিনই আমরা খবরে দেখছি পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেশি।        উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        দেশে ১০ বছরের প্রাকৃতিক গ্যাস মজুত আছে : জানালেন প্রতিমন্ত্রী        মার্কিন ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রত্যাহারের দাবি ১৯২ মার্কিন বাংলাদেশির        লাঙ্গল কার জানা যাবে রবিবার        আজকে বাংলাদেশে দরিদ্রতা নাই হয়ে গেছে: চুমকি        আরো আটশত মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ আসেছে দেশে : আশাবাদ সরকারের।        আড়াই হাজার দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষতি ২০০০ কোটি টাকা        বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        স্বল্পোন্নত দেশগুলো দান চায় না, তারা তাদের প্রাপ্য চায়ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        স্বায়ত্তশাসনসহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির ছয়টি দাবি : শেখ মুজিবুর রহমান।        মার্চের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাতিকে স্বাধীনতার প্রস্তুত জন্য করেন        বাংলাদেশ গেমসের সমাপনী দিনের মূল আকর্ষণ ছিল ১০০ মিটার স্প্রিন্ট।