শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ ঢাকা, বাংলাদেশ
সংবাদ

বাংলাদেশী সিনেমার প্রধান উপজীব্য এখনও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক অজানা গল্প

বাংলাদেশী সিনেমার প্রধান উপজীব্য এখনও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক অজানা গল্প

সামাজিক বাস্তবতার চলচ্চিত্র ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছবির পোস্টার। ছবি : সংগৃহীত

  • ১৯৭১ সালে ৯ মাস যুদ্ধ করার পর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। স্যালুলয়েডের ফিতায় বহুবার ধরা দিয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা। যুদ্ধেও লোমহর্ষক, মর্মান্তিক ও বিজয় গাথা নিয়ে নির্মিত হয়েছে বিখ্যাত অনেক সিনেমা।


  • ওরা ১১ জন : বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা হচ্ছে ‘ওরা ১১ জন’। ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম। এতে অভিনয় করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক, শাবানা, নূতন, হাসান ইমাম, এটিএম শামসুজ্জামান, খলিলউল্লাহ খান প্রমুখ। সিনেমাটিতে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা অভিনয় করেছিলেন। এই সিনেমায় ১১ জনের ১০ জনই বাস্তবের মুক্তিযোদ্ধা। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন খসরু, মুরাদ, হেলাল ও নান্টু।


  • সংগ্রাম : এই সিনেমাটিও নির্মাণ করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম। ‘সংগ্রাম’ মুক্তি পায় ১৯৭৩ সালে। এর গল্প নেয়া হয়েছে সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফের ডায়েরি থেকে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন সুচন্দা, খসরু। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একটি সিনেমা এটি।


  • আবার তোরা মানুষ হ : বাংলাদেশের আরেক বিখ্যাত পরিচালক খান আতাউর রহমান মুক্তিযুদ্ধেও প্রেক্ষাপটে নির্মাণ করেছেন ‘আবার তোরা মানুষ হ’। সিনেমাটিতে যুদ্ধ পরবর্তী সামাজিক পরিবেশ ও বিশৃঙ্খলার চিত্র উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফারুক,অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, চিত্রনায়িকা ববিতা, অভিনেত্রী রোজী আফসারী ও রওশন জামিলসহ অনেকে।


  • মেঘের অনেক রং : এই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ১৯৭৬ সালে। হারুনুর রশীদ পরিচালিত ‘ মেঘের অনেক রং’ সিনেমায় যুদ্ধের সময় রুমা নামের একজন ডাক্তারের স্ত্রী ধর্ষণের পর সন্তানসহ কীভাবে কষ্টের শিকার হয় সে চিত্র উঠে এসেছে। রতœা কথাচিত্রের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন আনোয়ার আশরাফ ও শাজীদা শামীম। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাথিন, ওমর এলাহী, রওশন আরা, আদনান প্রমুখ। ‘মেঘের অনেক রং’ বাংলাদেশের দ্বিতীয় রঙিন এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম রঙিন সিনেমা।


  • ধীরে বহে মেঘনা : এটি নির্মাতা আলমগীর কবিরের প্রথম কাহিনীচিত্র। মুক্তি পায় ১৯৭৩ সালে। ভারতীয় মেয়ে অনিতার প্রেমিক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়। সে ঢাকায় এসে যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে আরও গভীরভাবে মর্মাহত হয়। মানবিকতাবোধে আচ্ছন্ন হয় তার হৃদয়। অভিনয়ে ছিলেন বুলবুল আহমেদ, ববিতা, গোলাম মস্তাফা, আনোয়ার হোসেন, খলিল উল্লাহ খান প্রমুখ। অতিথি শিল্পী হিসেবে অভিনয়ে করেন সুচন্দা। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশ ফিল্মস্ ইন্টারন্যাশনাল।


  • একাত্তরের যীশু : সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ। শাহরিয়ার কবিরের উপন্যাস অবলম্বনে ‘একাত্তরের যীশু’ নির্মিত। মুক্তি পায় ১৯৯৩ সালে। অভিনয় করেছেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুমায়ুন ফরীদি, জহির উদ্দিন পীয়াল, আবুল খায়ের, আনোয়ার ফারুক, কামাল বায়েজীদ ও শহীদুজ্জামান সেলিম।


  • জয়যাত্রা : অভিনেতা তৌকীর আহমেদ পরিচালিত প্রথম সিনেমা এটি। মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। সদ্য প্রয়াত বিখ্যাত কাহিনীকার ও নির্মাতা আমজাদ হোসেনের গল্পে এটি নির্মিত। জয়যাত্রা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন একদল মানুষের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, মৃত্যু ও বেঁচে থাকার সংগ্রামের গল্প। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন বিপাশা হায়াত, আজিজুল হাকিম, মাহফুজ আহমেদ, হুমায়ুন ফরীদি, তারিক আনাম খান, আবুল হায়াত, মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী।


  • গেরিলা : নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিয়ে নির্মিত আরেকটি সিনেমা ‘গেরিলা’। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লাবান’ উপন্যাস থেকে নির্মিত। অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, ফেরদৌস, এটিএম শামসুজ্জামান, রাইসুল ইসলাম আসাদ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী ওয়াদুদ, শম্পা রেজা, গাজী রাকায়েত প্রমুখ। মুক্তিযুদ্ধের সময় গেরিলা হামলার চিত্র এতে উঠে এসেছে।


  • আগুনের পরশমণি : প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘আগুনের পরশমণি’। নিজের লেখা উপন্যাস থেকেই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন বিপাশা হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর, আবুল হায়াত, ডলি জহুর প্রমুখ। ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি বেশ কয়েকটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।


  • আমার বন্ধু রাশেদ : ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী যুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘আমার বন্ধু রাশেদ’। মুহম্মদ জাফর ইকবাল’র শিশুতোষ উপন্যাস থেকে এটি পরিচালনা করেছেন মোরশেদুল ইসলাম। অভিনয় করেছেন চৌধুরী জাওয়াতা আফনান। অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ইনামুল হক, হুমায়রা হিমু ও ওয়াহিদা মল্লিক জলি। এছাড়াও শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন রায়ান ইবতেশাম চৌধুরী, কাজী রায়হান রাব্বি, লিখন রাহি, ফাইয়াজ বিন জিয়া, রাফায়েত জিন্নাত কাওসার আবেদীন।


প্রকাশ : টাইম বাংলা ম্যাগাজিন, ঢাকা।

এই কুইজে


- জন
অংশগ্রহণ করেছেন
আপনিও রেজিষ্ট্রেশন করুন


the leader

the leader

২ এপ্রিল ২০২৩

আজ আপনার জন্য আর কোন পরীক্ষা নেই!

শিরোনাম:
   ডিএমপির নতুন কমিশনার, অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর        জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        প্রতিদিনই আমরা খবরে দেখছি পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেশি।        উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        দেশে ১০ বছরের প্রাকৃতিক গ্যাস মজুত আছে : জানালেন প্রতিমন্ত্রী        মার্কিন ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রত্যাহারের দাবি ১৯২ মার্কিন বাংলাদেশির        লাঙ্গল কার জানা যাবে রবিবার        আজকে বাংলাদেশে দরিদ্রতা নাই হয়ে গেছে: চুমকি        আরো আটশত মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ আসেছে দেশে : আশাবাদ সরকারের।        আড়াই হাজার দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষতি ২০০০ কোটি টাকা        বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        স্বল্পোন্নত দেশগুলো দান চায় না, তারা তাদের প্রাপ্য চায়ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        স্বায়ত্তশাসনসহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির ছয়টি দাবি : শেখ মুজিবুর রহমান।        মার্চের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাতিকে স্বাধীনতার প্রস্তুত জন্য করেন        বাংলাদেশ গেমসের সমাপনী দিনের মূল আকর্ষণ ছিল ১০০ মিটার স্প্রিন্ট।