শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ ঢাকা, বাংলাদেশ
সংবাদ

বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের শিকার পরিবারের মানববন্ধন

বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের শিকার পরিবারের মানববন্ধন

জামায়াত-বিএনপির নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার তিনটি ভিন্ন প্রজন্মের পরিবারের সদস্যরা।

মানবাধিকারের নামে বিদেশে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াত-বিএনপির নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার তিনটি ভিন্ন প্রজন্মের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলেছেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানসহ জামায়াত-বিএনপির বিভিন্ন শাসনামলে চালানো হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকালে হওয়া গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে হবে।

সোমবার রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও সচেতন নাগরিক সমাজ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি তোলা হয়। এতে ১৯৭১, ১৯৭৫ ও সামরিক শাসনামল, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা এবং ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা অংশ নেন।

সমাবেশে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের ছেলে এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭১ সালে ত্রিশ লাখ নিরীহ মানুষ, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী, পঁচাত্তরের সপবিরারে জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতা এবং বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান পেছনে থেকে তার লোকদের মাধ্যমে যখন অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মানবাধিকারের ব্যবসা যারা করেন তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন করতে চাই, তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার?

তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অনেকে গলা ফাটিয়ে দিচ্ছেন সারা পৃথিবীতে। বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের কিছু হলেই তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা খুঁজে পান। সেই তথাকথিত সুশীলসমাজকে বলতে চাই, মানবাধিকার এমন একটি বিষয়- যেটি তাদের মুখে অন্তত শোভা পায় না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যারা বিভিন্ন সংগঠন বা সংস্থার নামে মানবাধিকার নিয়ে কথাবার্তা বলেন, তারা বলে থাকেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক চর্চা নেই ও বিরোধী দলকে দমন করা হচ্ছে’। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তারা যদি এটিকে বিরোধী দলকে দমন করা বলতে চান, তাহলে বিরোধীদল দিনের পর দিন পদযাত্রা ও বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ করছে কীভাবে?

বীরাঙ্গনা ফাতেমা আলী মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘যুদ্ধ শেষে আমার বাবা ও স্বামীর বাড়ি ঠাঁই পাইনি। তখন বীরবিক্রম হেমায়ত বাহিনীর সঙ্গে ঢাকা আসি। ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাবার ভূমিকা নিয়ে আমার সঙ্গে বহু মেয়েকে একসঙ্গে এককাতারে বিয়ে দিয়েছিলেন। আমি সেসব বোনদের আজও বলি এখন কেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ওপর হামলা হবে? কেন বাংলাদেশে আনাচে কানাচে হামলাকারীরা হামলা চালায় যাচ্ছে?’

২০১৩ সালে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যাওয়া এক নারী ভুক্তভোগী তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, সেই ঘটনায় মানবাধিকার প্রশ্নে কেউ আমাদের কাছে আসেনি। শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন। তিনি আমাদের চিকিৎসা দিয়েছেন। এখন বিদেশি যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের প্রতি ধিক্কার আসে।

‘বিএনপি-জামায়াত ও তাদের আন্তর্জাতিক দোসর- আমাদের মানবাধিকারের কী হবে? জবাব চাই’ শিরোনামে এই বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভুলবার্তা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত ও তাদের আন্তর্জাতিক সহযোগীরা বলার চেষ্টা করছে, বর্তমান সরকারের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। তারা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের দীর্ঘ ইতিহাসকে উপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ এখনও ১৯৭১ সালের নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৭৫ সালের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইন্ডেমনিটি দিয়ে খুনিদের বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আন্তর্জাতিক মানবধাধিকার সংগঠন, আন্তর্জাতিক জোট ও  বিএনপি-জামায়াতকে বলবো, সেসব ইতিহাস স্মরণ করুন। সেসব ইতিহাস শুনুন। শুধু একক ঘটনা তুলে ধরার মধ্য দিয়ে মানবাধিকারের অবক্ষয় করবেন না।

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চসহ মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৯৭১, ১৯৭৫ ও ৭৭-৭৮ সালে হত্যার শিকার হওয়া ভুক্তভোগী পরিবারের সদসরা।

এই কুইজে


- জন
অংশগ্রহণ করেছেন
আপনিও রেজিষ্ট্রেশন করুন


the leader

the leader

২ এপ্রিল ২০২৩

আজ আপনার জন্য আর কোন পরীক্ষা নেই!

শিরোনাম:
   ডিএমপির নতুন কমিশনার, অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর        জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        প্রতিদিনই আমরা খবরে দেখছি পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেশি।        উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        দেশে ১০ বছরের প্রাকৃতিক গ্যাস মজুত আছে : জানালেন প্রতিমন্ত্রী        মার্কিন ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রত্যাহারের দাবি ১৯২ মার্কিন বাংলাদেশির        লাঙ্গল কার জানা যাবে রবিবার        আজকে বাংলাদেশে দরিদ্রতা নাই হয়ে গেছে: চুমকি        আরো আটশত মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ আসেছে দেশে : আশাবাদ সরকারের।        আড়াই হাজার দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষতি ২০০০ কোটি টাকা        বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        স্বল্পোন্নত দেশগুলো দান চায় না, তারা তাদের প্রাপ্য চায়ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        স্বায়ত্তশাসনসহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির ছয়টি দাবি : শেখ মুজিবুর রহমান।        মার্চের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাতিকে স্বাধীনতার প্রস্তুত জন্য করেন        বাংলাদেশ গেমসের সমাপনী দিনের মূল আকর্ষণ ছিল ১০০ মিটার স্প্রিন্ট।