শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ ঢাকা, বাংলাদেশ
সংবাদ

৮’শ বছরের পুরনো দ্বীপে ঘুমায় সম্ভাবনা

৮’শ বছরের পুরনো দ্বীপে ঘুমায় সম্ভাবনা

ফাইল ফটো

ধান, সুপারি, ইলিশের জেলা হিসেবে ভোলার খ্যাতি দেশজুড়ে। হিমালয় থেকে নেমে আসা তিনটি প্রধান নদী পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র বাহিত পলি দিয়ে মোহনার বুকে জেগে উঠেছে দ্বীপ জেলা ভোলা। এ জেলার সৃষ্টির ইতিহাস যেমন আকর্ষণীয় ঠিক তেমনি এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও রয়েছে বৈচিত্রের ছোঁয়া। বিশেষ করে এখানকার চরা লের অতিথি পাখির উড়ে বেড়ানো, হরিণের পালের ছোটা ছুটি, নদীর বুকে সারি সারি জেলে নৌকা, দল বেধে বুনো মহিষের বিচরণ, একরের পর একর মেনগ্রোভ বনা ল, আকাশ ছোঁয়া কেওড়া বাগান আর সাগর মোহনার সৈকত সব কিছুই কঠিন হৃদয়ের মানুষেরও মন ছুঁয়ে যায়। ভোলা সদর থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেষে মেঘনার বুকে জেগে ওঠা দ্বীপ উপজেলা মনপুরার অবস্থান। প্রমত্তা মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ের পলি জমে এ দ্বীপটির জন্ম হয়।

সাগরের কোল ঘেঁষে জন্ম নেওয়ায় স্থানীয়দের কাছে মনপুরা সাগর কন্যা হিসেবে পরিচিত। এখানে ভোরে সূর্যের আগমনী বার্তা আর বিকেলের পশ্চিম আকাশের সিঁড়ি বেয়ে এক পা দু’পা করে মেঘের বুকে হারিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সত্যিই অতুলনীয়। আবার রাতের নতুন শাড়িতে ঘোমটা জড়ানো বধূর মত নিস্তব্ধতায় ছেয়ে যায় পুরো দ্বীপ। প্রায় ৮’শ বছরের পুরনো মনপুরা উপজেলা বর্তমানে দক্ষিণা ল তথা দেশজুড়ে পরিচিত একটি নাম। এখানকার ইতিহাস বেশ প্রাচীন। ৭’শ বছর আগে এখানে পূর্তগীজ জলদস্যুদের আস্তানা ছিল। যার প্রমাণ মিলে মনপুরায় আজও সে সময়ের লোমস কুকুরে বিচরণ।

 

প্রাকৃতিক সৌন্দের্য্যরে অপরূপ লীলাভূমি মনপুরায় রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রের অপার সম্ভাবনা। পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এখানকার হাজার হাজার একর জায়গাজুড়ে ম্যানগ্রোভ বনা ল। এছাড়াও রয়েছে বাহারি প্রজাতির বৃক্ষ, তরুলতা। আরও রয়েছে হরিণ, বানর, ভাল্লুকসহ নানা বৈচিত্র্যময় প্রাণী। এর গহীন জঙ্গলে ভয়ঙ্কর কিছু প্রাণী রয়েছে বলেও জনশ্রতি রয়েছে। মনপুরার রয়েছে ৮/১০টি বিচ্ছিন্ন চর। এগুলো হচ্ছে চর তাজাম্মল, চর জামশেদ, চর পাতিলা, চর পিয়াল, চর নিজাম, লালচর, বালুয়ারচর, চর গোয়ালিয়া ও সাকুচিয়ার চর। আর চরগুলো দেখলে মনে হবে কিশোরীর গলায় মুক্তর মালা। এসব চরা লে বন বিভাগের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে সবুজের বিল্পব। চোখ ধাঁধানোও রূপ নিয়েই যেন এসব চরগুলোর জন্ম। চরগুলোতে রয়েছে মানুষের বসতি। যাদের জীবন যাত্রার মানও কিছুটা ভিন্ন ধরনের। জেলে, চাষি, দিন মজুর, কৃষক ও খেয়া পার করে জীবকা নির্বাহ করেন এখানকার বেশীর ভাগ মানুষ। তাই সবুজের সমারহ আর পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত বিচ্ছিন্ন সাগর কন্যা মনপুরা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বের দাবীদার।

স্থানীয়দের দাবি, ভ্রমণ পিয়াসু মানুষকে মুগ্ধতার বন্ধনে আটকে দেয়ার অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে সাগর কন্যার। শীত মৌসুমে এর চিত্র ভিন্ন ধরনের। সুদূর সাইবেরিয়া থেকে ছুটে আসা অতিথি পাখিদের আগমনে চরা লগুলো যেন নতুন রূপ ধারণ করে। পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে শীত মৌসুমে বাংলাদেশে যেসব প্রজাতির অতিথি পাখি আসে। এর মধ্যে সিংহ ভাগই ভোলায় অবস্থান করে। তখন সাগর কন্যার মনপুরার চরে অতিথি পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। দেশের অন্যসব পর্যটন কেন্দ্রের তুলনায় মনপুরার চিত্র কিছুটা ভিন্ন। মাইলের পর মাইল বৃক্ষের সবুজ সমাহার জেনো ক্যানভাসে আঁকা শিল্পীর নিপুণ হাতে ছোঁয়া। যেখানে নানান প্রজাতির গাছের সংখ্যা রয়েছে পাঁচ কোটিরও বেশী। রয়েছে একটি ল্যান্ডিং ষ্টেশন। সেখান থেকে সাগরের উত্তাল ঢেউ এর দৃশ্য উপভোগ করা যায় । দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য। এছাড়া সম্প্রতি মনপুরার সাগর মোহনায় জেগে উঠা প্রায় এক কিলোমিটার বালির বিচকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দক্ষিণা হাওয়া সী-বিচ। এই বিচকে ঘিরে নতুন সম্ভাবনা। সব মিলিয়ে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকা সত্বেও সাগর কন্যা আজও অবহেলিত হয়ে পরে আছে।

মনপুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার চৌধুরী জানান, নিঃসন্দেহে এ অ লে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠতে পারে। মনপুরার অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, ভাল মানের হোটেল, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিসহ বিভিন্ন সুবিধা বাড়াতে পারলে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে মনপুরায়। তবে সরকারী, বেসরকারি কিংবা এনজিও সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা যদি গুরুত্বের সাথে অবহেলিত এ জনপদের উপর দৃষ্টি রাখে তাহলে খুব শীঘ্রই এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব।

যোগাযোগ ব্যবস্থা:

ঢাকা থেকে সরাসরি ল যোগে মনপুরা আসা যায়। সন্ধ্যায় লে উঠে সকাল ৬ টায় পৌছা যায় মনপুরায়। এছাড়াও ভোলা ইলিশা থেকে রাতে লে ও সিট্রাকে তজুমদ্দিন অথবা ইঞ্জিন চালিত ট্রলার করে যাতায়াত করা যায়।

এই কুইজে


- জন
অংশগ্রহণ করেছেন
আপনিও রেজিষ্ট্রেশন করুন


the leader

the leader

২ এপ্রিল ২০২৩

আজ আপনার জন্য আর কোন পরীক্ষা নেই!

শিরোনাম:
   ডিএমপির নতুন কমিশনার, অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর        জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        প্রতিদিনই আমরা খবরে দেখছি পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেশি।        উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        দেশে ১০ বছরের প্রাকৃতিক গ্যাস মজুত আছে : জানালেন প্রতিমন্ত্রী        মার্কিন ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রত্যাহারের দাবি ১৯২ মার্কিন বাংলাদেশির        লাঙ্গল কার জানা যাবে রবিবার        আজকে বাংলাদেশে দরিদ্রতা নাই হয়ে গেছে: চুমকি        আরো আটশত মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ আসেছে দেশে : আশাবাদ সরকারের।        আড়াই হাজার দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষতি ২০০০ কোটি টাকা        বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        স্বল্পোন্নত দেশগুলো দান চায় না, তারা তাদের প্রাপ্য চায়ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা        স্বায়ত্তশাসনসহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির ছয়টি দাবি : শেখ মুজিবুর রহমান।        মার্চের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাতিকে স্বাধীনতার প্রস্তুত জন্য করেন        বাংলাদেশ গেমসের সমাপনী দিনের মূল আকর্ষণ ছিল ১০০ মিটার স্প্রিন্ট।